:
ব্রেকিং নিউজ

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরায়েল-ইরান, ট্রাম্পের ঘোষণা !

top-news

আরাঘচি জানান, যদি ইসরায়েল মঙ্গলবার ভোর ৪টার মধ্যে ‘অবৈধ আগ্রাসন’ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা আঘাত থেকে বিরত থাকবে।
ইসরায়েল ও ইরান একটি পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি হয়েছে বলে ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মাধ্যমে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের অবসান হতে পারে। এ সংঘাতে তেহরান ছেড়েছে লাখ লাখ মানুষ এবং আরো বড় যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যে। খবর রয়টার্স।

সোমবার (২৩ জুন) ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক চললে আমি ইসরায়েল ও ইরান—দুই দেশকেই অভিনন্দন জানাতে চাই তাদের সাহস, ধৈর্য ও প্রজ্ঞার জন্য। এই যুদ্ধে অবসান ঘটানো উচিত, এবং একে ১২ দিনের যুদ্ধ বলেই ডাকা উচিত।‘

আরাঘচি জানান, যদি ইসরায়েল ‘অবৈধ আগ্রাসন’ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা আঘাত থেকে বিরত থাকবে।

ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য আসেনি। তবে ইরানের একজন কর্মকর্তা পূর্বে জানিয়েছেন, তেহরান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি স্পষ্ট করে বলেন, ইসরায়েল যদি হামলা বন্ধ না করে, তাহলে সংঘর্ষ বন্ধ হবে না।

আরাঘচি জানান, যদি ইসরায়েল মঙ্গলবার ভোর ৪টার মধ্যে ‘অবৈধ আগ্রাসন’ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও পাল্টা আঘাত থেকে বিরত থাকবে।

এই সময়সীমার পর থেকে ইরানে আর কোনো ইসরায়েলি হামলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আরাঘচি পরে এক্সে বলেন, ‘আমাদের সামরিক অভিযান স্থগিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে জানানো হবে।‘

হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প এক ফোনালাপে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই চুক্তির দিকনির্দেশনা দেন। ইসরায়েল সম্মত হয়েছে যে, ইরান যদি আর কোনো হামলা না চালায়, তবে তারাও বিরত থাকবে।

ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, ইসরায়েল ও ইরান তাদের চলমান সামরিক মিশন শেষ করার জন্য কিছু সময় পাবে। এরপর ধাপে ধাপে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।

ইরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো কর্মসূচি চালায়নি। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, ‘আমরা যদি চাই, তাহলে দুনিয়ার কেউ তা ঠেকাতে পারবে না।‘

ইসরায়েল আন্তর্জাতিক পরমাণু অস্ত্র নিষ্ক্রিয়করণ চুক্তির (এনপিটি) সদস্য নয় এবং এটিই মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র দেশ, যাদের পরমাণু অস্ত্র থাকার ব্যাপারে ধারণা করা হলেও ইসরায়েল বিষয়টি স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করেনি।

রয়টার্সকে একটি সূত্র জানায়, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে এক ফোনালাপে তেহরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ তেহরানের সঙ্গে সরাসরি ও পরোক্ষ যোগাযোগে ছিলেন বলে হোয়াইট হাউস জানায়।

কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলের তিনজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, তারা ইরানে অভিযান শেষ করার চিন্তাভাবনা করছে এবং সেই বার্তাও যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সোমবার গভীর রাতে এক মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রীদের জনসমক্ষে কোনো বক্তব্য না দিতে বলেছেন বলে চ্যানেল টুয়েলভ জানায়।

এদিকে বাজারেও এই ঘোষণার প্রভাব পড়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ফিউচারস সোমবার রাতেই শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেলের দাম মঙ্গলবার এশিয়ার বাজারে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। কারণ যুদ্ধবিরতির খবরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে গেছে।

https://www.newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *