:
ব্রেকিং নিউজ

ইসরাইলি হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে ইরান

top-news

ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মধ্যেই দেশটির তেল আবিব শহরে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের পাশে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৩ এই খবর জানিয়েছে।

ইসরায়েল হাওম নামের আরেকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মধ্য ইসরায়েলের সাতটি জায়গায় ইরান থেকে উড়ে আসা রকেট পড়েছে।
ইসরায়েলে ইরানের পাল্টা হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে বিবিসি এমন খবর প্রকাশ করেছে।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত বলেন, ইসরায়েলে এক নারী নিহত এবং আরও ৪০ জনের মতো মানুষ আহত হয়েছেন।

আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসও ইসরায়েলে একজন নিহত হওয়ার তথ্য প্রকাশ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশের এক মুখপাত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, শুক্রবার রাতে তেল আবিবের কাছে একটি শহরতলিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওই নারীকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান বলছে, বেশ কয়েকটি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। আল জাজিরার খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কোন এলাকায় এসব হামলা হয়েছে তা জানানো হয়নি।

এএফপির খবর বলছে, শনিবার ভোরে ইরান নতুন করে ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ইরান থেকে ছোড়া বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র তাঁরা শনাক্ত করেছে। 

শুক্রবার ভোররাতে ইরানে ২০০ জঙ্গিবিমান দিয়ে হামলা চালায় ইসরায়েল। মূলত ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে ইরানের সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি, আইআরজিসির বিমানবাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহসহ অন্তত ২০ জন কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এ হামলায় সব মিলিয়ে অন্তত ৭৮ জনের প্রাণহানি এবং তিন শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এর প্রায় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল আবার নতুন করে ইরানে সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।

এসব হামলার জবাব দিতে শুরু করেছে ইরান। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে, সেগুলো লক্ষ্যভ্রষ্ট করতে কাজ করছে। তেল আবিব শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলিদের নিরাপদ এলাকায় চলে যেতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

ইরানে দুটি বিমানঘাঁটিতে হামলা, একটি ধ্বংসের দাবি ইসরায়েলের

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, গতকাল শুক্রবার তারা ইরানের দুটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। হামলায় একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

এ দুটি বিমানঘাঁটি হলো—ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের হামাদান বিমানঘাঁটি ও উত্তর–পশ্চিমাঞ্চলের তাবরিজ বিমানঘাঁটি। এর মধ্যে হামলায় তাবরিজ বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। বলা হয়েছে, ভূমি থেকে ভূমিতে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এ বিমানঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে। খবর সিএনএনের। 

ইসরায়েলের হামলার জবাবে সংযম দেখাতে বলাটা অযৌক্তিক: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেছেন, ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাঁর দেশকে ‘সংযম’ দেখাতে বলাটা ‘অযৌক্তিক’।

নিজ দেশে ইসরায়েলি হামলার মধ্যে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ওই বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এ কথা লিখেন তিনি।

পোস্টে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও লিখেন, ইসরায়েলের কর্মকাণ্ড ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের প্রতিক্রিয়া ‘দৃঢ়’ হবে। খবর বিবিসির। 

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমে এক নারীর নিহতের খবর

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হওয়া এক ইসরায়েলি নারী পরে মারা গেছেন। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল–জাজিরা। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর নাম–পরিচয় জানানো হয়নি।

আল–জাজিরা বলছে, তারা প্রাথমিকভাবে নিহতের এ তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তবে খবরটি যদি সত্যি হয়, তাহলে ইসরায়েলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলা শুরুর পর এটাই হবে প্রথম কোনো ইসরায়েলি নাগরিকের নিহত হওয়ার ঘটনা। 

ইরানের হামলার রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাংকারে নেতানিয়াহু

তেল আবিবসহ বিভিন্ন শহরে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার রাতে বাংকারে অবস্থান নেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ সময় তাঁর সঙ্গে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ ছিলেন। ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বরাতে এ খবর দিয়েছে সিএনএন।

ওই কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরুর পরপর প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু একটি বাংকারে ঢুকে যান। সঙ্গী হন প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তাঁরা সেখানে বসে সামগ্রিক পরিস্থিতির জরুরি মূল্যায়ন করেন।

বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি মন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জরুরি আলোচনায় অংশ নেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। 

https://www.newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *