চট্টগ্রামের নালা নদ্দমা আর খাল যেন মৃত্যু ফাঁদ!

- ডেস্ক রিপোর্ট:
- 19 Apr, 2025
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে ৫ বছরে শিশুসহ বলি ৯জন। এর মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী, সবজি বিক্রেতা, কলেজ ছাত্রও রয়েছে। সবর্সশেষ বলি ৬মাস বয়সী শিশু সেহেরীশ! ২০২৩ সালের ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে ফতেহপুরে নালায় পড়ে মারা যান কলেজছাত্রী নিপা পালিত। এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন ষোলশহর এলাকার চশমা খালে পড়ে অটোরিকশাচালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। একই বছর ২৫ আগস্ট মুরাদপুরে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন সবজি ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর একই খালে তলিয়ে যায় শিশু মো. কামাল উদ্দিন। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর আগ্রাবাদের মাজার গেট এলাকায় নালায় পড়ে মৃত্যু হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার। ২০২৪ সালে মারা গেছে আরো নগরীর আছাদগঞ্জে খালে পড়ে মারা গেছে আজিজুল হাকিম নরামে নামে এক কলেজ ছাত্র। এরমধ্যে দু’জনের এখনো খোঁজ মেলেনি।
চট্টগ্রামের নালা নদ্দমা আর খাল গুলি যেন মৃত্যু ফাঁদ। গত ৫ছরে অন্তত: ৯জন নালা ও খাদে পড়ে মারা গেলেও বদলায়নি পুরানোচিত্র। মৃত্যু মিছিল যেমন ক্রমশই বাড়ছে। ফলে নগরবাসীর জন্য চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে উঠছে।
এত এত মৃত্যুর পরেও নিরাপদ হয়নি চট্টগ্রাম নগরীর ঝুঁকিপূর্ণ নালা ও খালের
পাড়। বদলায়নি পুরনো চিত্র। কেবল কাগজে-কলমে শোনানো হচ্ছে প্রকল্প
বাস্তবায়নের গল্প। অথচ সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম মহানগরী।
নালা-নর্দমা-খালা বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে একাকার হয়ে যায়।
এ জন্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, সিডিএসহ সিটি কর্পোরেশনকে দুষলেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
নালা-নর্দমা-খালে পড়ে নাগরিকদের মৃত্যুর দায় সিডিএ-সিটি কর্পোরেশন কোনভাবে এড়াতে পারেনা বলেও মনে করেন নগরবাসী। নগরবাসীর জন্য নিরাপদ নগর গড়ে তোলার পাশাপাশি ঘটনার সঠিক তদন্ত, দোষীদের শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের কথাও বলছেন নাগরিক সমাজ।#
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
