:
ব্রেকিং নিউজ

দেশের কৃষিখাতের বালাইনাশকে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বহুজাতিক কোম্পানীর: দেশীয় উদ্যোক্তাদের দাবী বৈষম্য দূরকরার

top-news

দেশের কৃষিখাতে বালাইনাশকে একচেটিয়া আধিপত্য বহুজাতিক কোম্পানীর। প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বিশাল মার্কেটের পুরোটাই বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানী নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ এগ্রো ক্যামিকেল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন(বামা)র।
রাজধানীর পল্টনে গতকাল ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘এলডিসি উত্তরণ : কৃষি খাতে প্রভাব’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন বামার সভাপতি কেএস মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার আর্ন্তজাতিক বিষয়ক দূত লুৎফে সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ইআরএফ ও বামা যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার সভাপতিত্বে কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমানে বালাইনাশকের বাজার সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে ৫৫ শতাংশ বা ৪ হাজার ১২৫ কোটি টাকার বাজার বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আর স্থানীয় আমদানিকারকদের মাধ্যমে চাহিদার প্রায় ৪১ শতাংশ বা ৩ হাজার ৭৫ কোটি টাকার বালাইনাশক জোগান দেয়া হয়। তবে দেশীয় উৎপাদনকারীরা মাত্র ৪ শতাংশ বা ৩০০ কোটি টাকার বালাইনাশক সরবরাহ করে থাকেন। স্থানীয় বাজার সম্প্রসারণ না হওয়ার পেছনে নীতি কাঠামো ও নিবন্ধন জটিলতা বড় ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ এগ্রো কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা)।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষিবিদ কেএস মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মাত্র ২০টি প্রতিষ্ঠান স্থানীয়ভাবে বালাইনাশক উৎপাদন করলেও আমদানি করছে ৯৫০টি প্রতিষ্ঠান। মূলত নিবন্ধন জটিলতা ও কাঁচামাল আমদানিতে একক উৎস নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বালাইনাশক এখানকার আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির সুযোগ নেই। তাই এখানে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বালাইনাশক বিক্রির বিধিমালা করা প্রয়োজন।’
নিবন্ধন জটিলতা নিরসন করে দেশীয় উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি নির্ভরতা কমানো উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, ‘সিন্ডিকেটতন্ত্র থেকে মুক্তি পাওয়া আমাদের সংস্কারের অন্যতম লক্ষ্য। যেখানে যাচ্ছি শুধু সিন্ডিকেটের কথা শোনা যায়। এখানে একটি মার্কেট ইকোনমিক ফোর্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে এসব সিন্ডিকেট আবার সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে তাদের নেক্সাস তৈরি করেছে। আইনের মধ্যে এমন দিক রয়েছে, যাতে এসব আইনসিদ্ধভাবেই করা যাচ্ছে। এসব মুক্ত করতে আমরা সরকারের অভ্যন্তরে সমন্বয় বাড়িয়েছি। এরই মধ্যে দ্রব্যমূল্য ও বিমানভাড়া কমেছে। আমরা স্কিল প্রসেসিং জোন করতে পারি। আমাদের মানবসম্পদকে ভাষা শিখিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে রেমিট্যান্স আয় বাড়াতে পারি। আমাদের শ্রমমানও আর্ন্তজাতিক মানের হওয়া উচিত। আমরা এসব নিয়ে কাজ করছি।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা দেশে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করতে চান। এজন্য দেশকে একটি ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে তৈরি করতে চান তিনি। এজন্য কোথায় বাধা আছে সেসব দেখা হচ্ছে। বিশ্বে বাণিজ্যযুদ্ধ চলছে। এখান থেকে আমরা যেন সুবিধা নিতে পারি সেভাবে কাজ করা হচ্ছে।’

https://www.newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *