সাবেক মন্ত্রী জাভেদের সম্পদ জব্দ করেছে যুক্তরাজ্য

- ডেস্ক রিপোর্ট:
- 12 Jun, 2025
যুক্তরাজ্যে থাকা বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের সম্পদ দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) জব্দ করেছে। যুক্তরাজ্যের গুরুতর ও সংগঠিত অপরাধ দমন বিষয়ক সংস্থা এনসিএ’র উদ্ধৃতি দিয়ে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।
কাতারভিত্তিক টেলিভিশন স্টেশনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে এনসিএর মুখপাত্র আল-জাজিরার অনুসন্ধানী শাখা আই-ইউনিটকে পাঠানো বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যে থাকা জাবেদের সম্পদ জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাবেদের আগে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান এফ রহমান এবং তার বড় ভাইয়ের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমানের যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছিল এনসিএ। তাদের ৯ কোটি পাউন্ড বা ১৪৭৬ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল সম্পত্তি জব্দে তখন নয়টি আদেশ দিয়েছিল সংস্থাটি।
আল জাজিরা বলেছে, ‘ব্রিটেনের এফবিআই’ হিসেবে পরিচিত এনসিএ চলমান দেওয়ানি অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেশ কিছু সম্পদ জব্দের আদেশ পেয়েছে। তবে জাবেদের কতগুলো সম্পদ জব্দের আদেশ এসেছে তা বলেনি সংস্থাটি। এর আগে ২০২৪ সালে আল জাজিরার এক প্রামান্য চিত্রে যুক্তরাজ্যে জাভেদের বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ সাড়ে তিনশরও বেশি সম্পদ থাকার তথ্য উঠে এসেছিল।
এনসিএর সম্পত্তি জব্দের আদেশের ফলে সাবেক মন্ত্রী জাবেদ এসব সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করতে পারবেন না। তবে সংস্থাটি লন্ডনসহ যুক্তরাজ্যে থাকা তার কতগুলোর বাড়ি, ফ্ল্যাট বা সম্পদ জব্দ করতে বলেছে তা বিবৃতিতে বলেনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের সেন্ট জন’স উডে অবস্থিত জাবেদের বাড়িটি প্রায় দেড় কোটি ডলারে কেনা । আল জাজিরা বৃটেনে থাকা জাভেদের সম্পদ অর্জনের বিষয়ে দীর্ঘ অনুসন্ধান চালায়। অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ‘দ্য মিনিস্টার’স মিলিয়নস’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে তার দামি স্যুট ও জুতার কথাও তুলে ধরেন। বিট্রিশ সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, জাভেদের প্রায় ৩৫০টি সম্পত্তির মধ্যে ছোট ফ্ল্যাট থেকে বৃহৎ অট্টালিকা পর্যন্ত আছে, যেগুলো কিনেছে যুক্তরাজ্য ও বাইরে নিবন্ধিত অফশোর কয়েকটি কোম্পানি। এসব কোম্পানি বাংলাদেশি কয়েকজন প্রভাবশালী ধনী ব্যবসায়ী ও হাসিনা সরকারের সাবেক দুজন মন্ত্রীর মালিকানাধীন।
দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম অবজারভার অনুসন্ধান চালিয়ে দেখেছে, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা বাংলাদেশি ‘প্র্রভাবশালী ব্যক্তিরা যুক্তরাজ্যের আবাসন খাতে প্রায় ৪০ কোটি পাউন্ড বা ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা বা তারও বেশি বিনিয়োগ আছে। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করা হয়, তৎকালিক সরকারের মন্ত্রিসভার অন্তত একজন সদস্যের নিজ নামে বিদেশে একাধিক কোম্পানি থাকার প্রমাণ রয়েছে। এসব সম্পদ মূল্য প্রায় ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
