শুল্ক কর্মকর্তাদের কর্মবিরতীতে স্থবির চট্টগ্রাম কাষ্টমস হাউজ : ২৪ হাজার কনটইেনার নিয়ে ভাসছে ১৭ জাহাজ

- ডেস্ক রিপোর্ট:
- 25 May, 2025
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কর্মকর্তাদের কর্মবিরতির কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরণের কাস্টমস কার্যক্রম।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তের লক্ষ্যে প্রণীত একটি সরকারী অধ্যাদেশের প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তারা
১৫ মে সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন।
ফলে দেশের বৃহত্তম এই কাস্টমস স্টেশনে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের ওপর শুল্ক নির্ধারণসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরা।
শুল্ক কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ ও কন্টেইনার জট তৈরি হয়েেেছ। খালাসের অপেক্ষায় আছে ১৭টি জাহাজে ২৪ হাজারের বেশি কন্টেইনার। কিন্তু এরমধ্যে বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কন্টেইনার রাখার জায়াগার সংকুলান না হওয়ায় জাহাজে থাকা এসব কন্টেইনার খালাস করা যাচ্ছে না।
শুল্ক হাউজের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার চট্টগ্রাম সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এএসএম রেজাউল করিম স্বপন বলেন, 'কর্মবিরতির কারণে সব কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স বন্ধ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, 'স্টাফরা অফিসে এলেও কোনো অফিসিয়াল কাজ হচ্ছে না। সি অ্যান্ড এফ এজেন্টরাও কার্যত বসে আছেন।'
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয়—এর মধ্যে আমদানির প্রায় ২ হাজার ও রপ্তানির প্রায় ৫ হাজার। তবে কর্মবিরতির কারণে কোনো কার্যক্রমই চলছে না।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে কন্টেইনার ধারণ ক্ষমতা ৫৩,৫১৮ হলেও এ মুহুর্তে বন্দর ইয়ার্ডে আছে ৪১ হাজার ৩১৪টিইইউএস কন্টেইনার। ফলে অপেক্ষমান থাকা জাহাজ থেকে মাত্র ১০ হাজার কন্টেইনার নামিয়ে বন্দর ইয়ার্ডে রাখার মত জায়গা আছে।
প্রতিদিন গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার কন্টেইনার যেখানে খালাস হতো সেখানে বন্দর থেকে পন্য খালাস বন্ধ থাকায় এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর এতে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি পড়বে তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা।
Leave a Reply
Your email address will not be published. Required fields are marked *
সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
