:
ব্রেকিং নিউজ

ফের ক্ষমতায় ফিরছে জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি

top-news


ফের ক্ষমতায় ফিরছে জাস্টিন ট্রুডোর দল লিবারেল পার্টি। হারতে হারতে জিততেই চলছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর দলটি। প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন মার্ক কার্নে। বেশ কয়েকটি আসনে গণনা চলায় আনুষ্ঠানিক ভাবে ফলপ্রকাশ এখনও করা হয়নি। তবে টানা চার বারের জন্য লিবারাল পার্টি যে ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তা স্পষ্ট। অন্য দিকে, কানাডার খলিস্তানপন্থী দল হিসাবে পরিচিত নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) শোচনীয় ফল করেছে। ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন দলের প্রধান, ভারতীয় বংশোদ্ভূত জগমিত সিংহ।
কানাডায় লিবারেলদের এই জয়ের পেছনে কুবেক (ছঁল্কনবপ) প্রদেশে ভোটারদের মনোভাব বদলে যাওয়াকে বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। জনসংখ্যার দিক থেকে অন্টারিওর পরই এই প্রদেশের অবস্থান। এখানে আসন ৭৮টি। ঐতিহাসিকভাবে এই প্রদেশে ফরাসী জাতীয়তাবাদী দল ব্লক কুবেকোয়া, পার্টি কুবেকোয়া ও কুবেকোয়া সলিডায়ারের মতো দলগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয় পেয়েছে। এর পেছনে আছে কুবেকের স্বাধীনতা আন্দোলনের দীর্ঘ ইতিহাস। এই প্রশ্নে ১৯৯৫ সালে গণভোট আয়োজন হয়েছিল এখানে। সেবার এক শতাংশের ব্যবধানে স্বাধীনতার প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়। স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে ভোট পড়ে যথাক্রমে ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ ও ৫০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

এবারের নির্বাচনে কুবেকের স্বাধীনতার প্রশ্নটি কিছু ভোটারের কাছে আপাতত গৌণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কানাডার ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ এবং কটু মন্তব্য কুইবেকের ভোটারদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এখানকার ভোটাররা মনে করছেন, অটোয়া নয় বরং ওয়াশিংটন ডিসিই এখন তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। ওয়াশিংটনকে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে দরকার শক্তিশালী ফেডারেল সরকার। আর এই মুহূর্তে কেবল লিবারেল পার্টির পক্ষেই তা করা সম্ভব। তাই ভেদভাব ভুলে কুবেকের বড় একটি অংশের ভোট এবার লিবারেলদের ঝুলিতে গেছে।
তিন মাস আগেও অবশ্য কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্য রকম ছিল। ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে পদত্যাগ করেন কানাডার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। দলের নতুন নেতা নির্বাচিত হন কার্নে। তার পর বিশ্ব রাজনীতিতেও বড় পট পরিবর্তন ঘটে। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সে দেশের সঙ্গে পড়শি কানাডার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কানাডার একাধিক পণ্যে চড়়া শুল্ক চাপানোর কথা জানান ট্রাম্প। কানাডাকে আমেরিকার ‘৫১তম প্রদেশ’ বলে উল্লেখ করে তা দখল করার ইঙ্গিতও দেন তিনি।

ট্রাম্প যত কানাডার বিরুদ্ধে সুর চড়াতে থাকেন, ততই নিজেকে সে দেশের মুশকিল আসান হিসাবে তুলে ধরেন লিবারাল নেতা কার্নে। ভোটারদের তিনি বোঝান যে, ট্রাম্পের আগ্রাসী মনোভাবের হাত থেকে কানাডার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করতে পারেন তিনিই। দেশের টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও তিনি সামলে নেবেন বলে আশ্বস্ত করেন প্রাক্তন ব্যাঙ্কার কার্নে। ভোটের ফল বলছে, টালমাটাল পরিস্থিতিতে তাঁর এবং লিবারাল পার্টির কথাতেই আস্থা রেখেছেন কানাডার ভোটারেরা। ভোটের আগে বিরোধী কনজ়ারভেটিভরা অনেকটা এগিয়ে থাকলেও এ বারেও ক্ষমতায় আসা হচ্ছে না তাদের।
কানাডায় মোট আসনসংখ্যা ৩৪৩। লিবারাল পার্টি ১৬০টিরও বেশি আসনে এগিয়ে রয়েছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। সে ক্ষেত্রে ছোট কোনও দলের সাহায্য প্রয়োজন হতে পারে তাদের। ভোটের আগে কানাডার অনেকেই মনে করেছিলেন, সরকার গঠনে ‘কিংমেকার’ হতে পারে জগমিতের দল এনডিপি। সে ক্ষেত্রে তাদের সমর্থন লিবারাল কিংবা কনজ়ারভেটিভদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হত। কিন্তু ভোটের প্রাথমিক ফল বলছে, ন্যূনতম ১২ শতাংশ ভোটও না-পাওয়ায় জাতীয় দলের তকমা খোয়াচ্ছে তারা। জয়ের ইঙ্গিত পেতেই কানাডার বিভিন্ন শহরে লাল পতাকা নিয়ে বেরিয়ে পড়েন লিবারাল পার্টির সমর্থকেরা। প্রসঙ্গত, লিবারাল পার্টির নির্বাচনী রং লাল।
ট্রাম্প নর্বিাচতি হওয়ার পর কানাডায় জনপ্রয়িতা বড়েছেলি কনজারভেটিভ পার্টির। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় কানাডার ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপরে ঘোষণার পর। কানাডার সার্বভৌমত্ব নিয়েও হুমকি দেিত ছাড়নেনি ট্রাম্প। আয়তনে বিশে^র দ্বতিীয় বৃহত্তম দশেটেিক ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছার কথা জানানোর পাশাপাশি জাস্টনি ট্রুডোকে 'গর্ভনর' বলে সম্বোধন করতে শুরু করেন তিনি। আর এতইে হাওয়া বদলে যায় কানাডার রাজনীতিতে। ডুবতে বসা লবিারলে পার্টি ওয়াশংিটনরে বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নয়ে। ভোটাররাও জানিয়ে দেন, দক্ষিণের বড় প্রতবিশেীদরে দিকে থেেক যত চাপই আসুক তারা সব সময়ে সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে ছাড় দিবেন না।
নর্বিাচনরে প্রাথমকি ফলাফল অনুযায়ী, আসন সংখ্যা এবং মোট ভোটে এগিয়ে আছে লিবারেলরা। তারা এরই মধ্যে ১৫৩টি আসনে জয় নিশ্চিত  করেছে  এবং আরও ১৫টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। মোট ভোটরে মধ্যে সবোর্চ্চ ৪৩.৫ শতাংশ পেয়েছেন তাদরে প্রার্থীরা।
প্রধান বিরোধী দল হতে চলেেছ কনজারভটেভি পার্টি। দলটি ১৩৩টি আসনে জয়ী হয়েেছ এবং আরও ১১টি আসনে এগিয়ে রয়েছে তারা পয়েেেছ ৪১.৪ শতাংশ ভোট।
অন্যদেিক কুবকে প্রদশেরে ব্লক কুবেেকায়া ২১টি আসনে জয়লাভ করেছে। দলটি আরও দুইটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে  পাঁচ জনরে বিজয়ী হওয়ার কথা নশ্চিতি করেছে সিবিসি। আরও দুইটি আসনে এগেিয় আছে এই দলটি।
ইতিমধ্যেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন কনজারভেটিভ পার্টির  নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী পিয়েল পয়েলিভার।

https://www.newspluse24.com/public/uploads/images/manualAds/maanmanualAds02022025_111955_adds.jpg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *